সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ। বাংলাদেশের ইতিহাসে ২১ নভেম্বর এমন এক দিন—যে দিনটিকে বলা হয় সম্মান, সাহস আর দেশরক্ষার প্রতীক। ১৯৭১ সালে এ দিনেই একসঙ্গে যুদ্ধে নামে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী। এই সমন্বিত অভিযানই মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে যায় বিজয়ের আরও কাছে। সেই থেকেই এই দিনটিকে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষে দেশের সব সেনানিবাস, নৌঘাঁটি এবং বিমানবাহিনী ঘাঁটিতে ফজরের নামাজের পর বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে দেশের কল্যাণ ও সমৃদ্ধি, সশস্ত্র বাহিনীর অগ্রগতি এবং স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করা হয়।
‘সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৫’ উপলক্ষে ঢাকা সেনানিবাসে নির্বাচিত খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা প্রদান করা হবে। প্রধান উপদেষ্টা ১০১ জনকে শুভেচ্ছা স্মারক প্রদান করবেন। অনুষ্ঠানে সামরিক-বেসামরিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাসহ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও প্রতিরক্ষা খাতের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা উপস্থিত থাকবেন।
দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে আজ বিকেল ৪টায় সেনাকুঞ্জে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এতে দেশের প্রধান বিচারপতি, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টাগণ, বিদেশি রাষ্ট্রদূত, আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধান, সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থাকবেন। অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশ টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।
ঢাকা ছাড়াও বরিশাল, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বগুড়া, সিলেট, যশোর, রংপুর, ঘাটাইল ও খুলনা সেনানিবাস এবং ঘাঁটিতে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। পাশাপাশি বিশেষভাবে সাজানো নৌবাহিনীর জাহাজ আজ দুপুর ২টা থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত ঢাকা, খুলনা, চাঁদপুর, বরিশাল ও চট্টগ্রামে সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
অন্যদিকে, সশস্ত্র বাহিনী দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে ২০ নভেম্বর বাংলাদেশ টেলিভিশনে ‘অনির্বাণ’ নামে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচারিত হয়েছে। আজ সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ বেতারে ‘বিশেষ দুর্বার’ অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা হবে। বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলো পর্যায়ক্রমে অনুষ্ঠানটি প্রচার করবে।
দিবসটি উপলক্ষে জাতীয় দৈনিকে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হয়েছে এবং সশস্ত্র বাহিনীর অধীনস্থ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।












